Welcome in my World

#লোড_ফ্যাক্টর #ডিমান্ড_ফ্যাক্টর #ডাইভারসিটি_ফ্যাক্টর .
এখন আপনাদের সাথে যে বিষয় আলোচনা করবো তা pgcb, dpdc,APSCL, pgcl ইত্যাদি না ধরনের প্রতিযোগিতা মূলক প্রশ্নে প্রায়ই আসতে দেখা যায়।
.
আমরা এখন #লোড ফ্যক্টর, #ডিমান্ড ফ্যাক্টর, ডাইভারসিটি ফ্যক্টর নিয়ে আলোচনা করবো অত্যন্ত সহজ ভাবে। তিনটা ফ্যক্টর থেকে যেকোনো দুইটা ফ্যক্টর কিংবা তিনটা ফ্যক্টরই ম্যাথ এ থাকতে পারে।
.
চিত্রে আমি উপকারী এবং প্রয়োজনী সূত্র গুলা লিখে দিয়েছি। আপনারা ঠিক যেভাবে আছে সেভাবেই মুখস্ত করে ফেলবেন তাতে করে আপনার ম্যাথ বুঝতে এবং করতে সহজ হবে।
..
এখন চলেন উল্লেখিত আলোচনায় আসি।
প্রথমেই আমরা লোড ফ্যক্টর, ডিমান্ড ফ্যক্টর এবং ডাইভারসিটি ফ্যক্টরের সংজ্ঞা গুলা জেনে নিবো।
.
1.লোড ফ্যক্টর : কোনো পাওয়ার লোডের যে চাহিদা থাকে তাদের গড় বের করে তাকে ঐ লোডের সর্বোচ্চ চাহিদা দিয়ে ভাগ করলে যা পাওয়া যাবে তাই লোড ফ্যক্টর।
লোড ফ্যক্টর বের করতে হলে গড় লোড বের করে নিতে হবে।
গড় লোড বের করার জন্য আমরা বছরে উৎপাদিত মোট শক্তিকে অবশ্যই এক বছর অর্থাৎ 8760h দ্বারা ভাগ করে নিবো। তাহলে আমাদের গড় লোড বেরিয়ে যাবে।
.
2. ডিমান্ড ফ্যক্টর : নিম্নোক্ত চিত্রে দেখা যাচ্ছে ডিমান্ড ফ্যাক্টর বের করার জন্য প্লান্টের সাথে সংযুক্ত লোড কে ঐ প্লান্টের সর্বোচ্চ লোড দ্বারা ভাগ করতে হয়।
অর্থাৎ সংযুক্ত লোড কে সর্বোচ্চ লোড দ্বারা ভাগ করলে যা পাওয়া যায় তাই ডিমান্ড ফ্যক্টর।
.
3.ডাইভারসিটি ফ্যক্টর : প্লান্টে যে যে লোড ব্যবহার করা হয় সেই পৃথক পৃথক লোডগুলোকে বা চাহিদাগুলোকে একত্রে যোগ করে প্লান্টের সর্বোচ্চ লোড বা চাহিদা দ্বারা ভাগ করলেই ডাইভারসিটি ফ্যক্টর পাওয়া যায়।
.
বন্ধুরা এতক্ষণ বকবক অনেক করেছি। কিন্তু কথায় বলে example is better than advice.
তো চলেন আমরা এই তিনটা সূত্র নিয়ে দুইটা ম্যাথ সলুশন করে ফেলি যাতে করে আমাদের বুঝতে সমস্যা না হয়।
.
##example -1 : কোনো বিদ্যুৎ প্রকল্পের বাৎসরিক সর্বোচ্চ চাহিদা 20MW. এবং লোড ফ্যক্টর 0.03। এর সাবস্টেশনগুলোর সর্বোচ্চ চাহিদা যথাক্রমে , 8000, 4000 , 3500, 6000, 15000 khw হলে বৎসরে কত ইউনিট বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হবে। এর ডাইভারসিটি ফ্যক্টরের মান কত?
....
সমাধান :
প্রশ্নটা কি আপনারা সমাধান করে ফেলেছেন? করতে পারলে ভালো। আর না পারলে আমি আছি চিন্তার কোনো কারন নেই।
.
প্রশ্নটা পড়ে বুঝতে হবে আমাদের নিম্নোক্ত সূত্রের কি কি চাওয়া হচ্ছে এখানে।
এখানে দুইটা প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে।
প্রথম আমাদের বছরে উৎপাদিত শক্তি বের করতে হবে। আমাদের জন্যে দেওয়া আছে লোড ফ্যক্টর এবং সর্বোচ্চ চাহিদা।
চিত্রের চতুর্থ সূত্র হতে আমরা জানি,
গড় লোড= বছরে উৎপাদিত এনার্জি ÷ সময়
সুতরাং বছরে উৎপাদিত এনার্জি = গড় লোড × সময়।
এখানে আমাদের সময় জানা আছে, গড় লোড জানা নেই।
চিত্রের প্রথম সূত্র হতে আমরা গড় লোড বের করে নিতে পারি।
প্রথম সূত্রে দেয়া আছে
লোড ফ্যাক্টর = গড় লোড ÷ সর্বোচ্চ চাহিদা

সুতরাং গড় লোড = ডিমান্ড ফ্যক্টর × সর্বোচ্চ চাহিদা
= 0.03 × 20000 kw ( MW কে KW এ রুপান্তর করতে হবে।
= 6000 KW
সুতরাং বছরে উৎপাদিত শক্তি = 6000× 8760 kWH.
= 52560000 kwh (Ans)
আবার ডাইভারসিটি ফ্যক্টর = পৃথক পৃথক চাহিদার যোগফল ÷ সর্বোচ্চ চাহিদা
 8000+4000+3500+6000+ 15000)÷ 20000
= 1.825 (Ans)
......
এখান থেকেই ডিমান্ড ফ্যক্টর বের করতে পারবেন, সংযুক্ত মোট লোড হলো পৃথক পৃথক চাহিদার যোগফল।
.....
লেখাটি ভালো লাগলে কমেন্ট করুন। এবং বেশি বেশি শেয়ার করুন। কোনো প্রশ্ন থাকলে কমেন্ট বক্সে জানাবেন সমাধান দিতে চেষ্টা করবো।
নিম্নে একটি সমস্যা দেয়া আছে পারলে সমাধান করে উত্তর কমেন্ট বক্সে দিন।
..
সমস্যা : 15000kw ক্ষমতা সম্পন্ন একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে বৎসরে মোট 26280000kwh উৎপাদন করে । এর সাথে মোট সংযুক্ত লোডের পরিমাণ 12000kw এবং পিক লোড (সর্বোচ্চ) 6000 kw হলে
(1) গড় চাহিদা (2) ডিমান্ড ফ্যক্টর এবং (3) লোড ফ্যক্টর বের করুন।
..

No comments

Powered by Blogger.